নরসিংদী থেকে এস আলম
নরসিংদীর শিবপুরে পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ,আফজাল ফকির, বাদী হয়ে শিবপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩/৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত ধারার সত্যতা না পেয়ে দঃ বিঃ ধারায় অভিযোগ দাখিল করেন, তারপর থেকে আপোষের নামে বাদী আফজাল ফকির, আসামী আনোয়ার ও তার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন, আসামীগন দিতে অপারকতা জানালে, ক্ষিপ্ত হয়ে যান আফজাল ফকির ও তার পরিবার, এরই সুযোগে গত ০৭/০৮/২২ তারিখে, আনোয়ারের পুত্র লিজন আফজালের বাড়ীর পাশ দিয়ে বিলপাড়ে হাস আনতে গেলে সুযোগ পেয়ে আফজাল ও তার পরিবারের লোকজন লিজনকে ধরে আফজালের ঘড়ের বারান্দায় নিয়ে বিভিন্ন গালাগালি ও ভয়বিতি দেখাতে থাকে আর বলে আজ যদি তোর বাবা পাঁচ লক্ষ টাকা না দেয় তাহলে তোকে প্রানে মেরে ফেলবো, এ বলে তাকে বাশেঁর কন্চি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে তাকে মারধোর করিতে থাকিলে লিজনের চিৎকার শুনে লিজনের পরিবারের ও আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং জিজ্ঞেস করেন যে তাকে কি জন্য আটকে রাখা হয়েছে এবং মারধর করা হয়েছে, এ কথা শুনে আফজাল ফকির বলে পাঁচ লক্ষ টাকা না দিলে আরো মারবে এ বলে বাঁশের চিকন কঞ্চি দিয়ে গুতা মারলে লিজনের চোখের ভিতরে আঘাত লাগে লিজন চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পরলে সাহেরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে, মন্জুরা বেগম সাহেরাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে লিজনকে নিয়ে চলে আসার চেষ্টা করলে, নেসপাতি বেগম পিছন থেকে তাহার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন টান দিয়ে নিয়ে যায়। যহার মূল্য আনুঃ ( ৮০০০০) আশি হাজার টাকা, পরে লিজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে তাহার অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন পরে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এ বিষয়ে লিজনে বাবা বাদী, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, নরসিংদী তে একটি মামলা দায়ের করেন,যহার মামলা নং শিবপুর সি আর, – ৮৩৮/২২ তারিখ ২১,০৮,২২ ইং।
Leave a Reply